রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও তার স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে সম্প্রতি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ব্যাংক হিসাব তলব করা অন্যদের মধ্যে আছেন- রাবির সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের স্ত্রী মনোয়ারা সোবহান, ছেলে মুশফিক সোবহান, মেয়ে সানজানা সোবহান ও জামাতা এটিএম শাহেদ পারভেজ।
চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই পাঁচ ব্যক্তির ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। গত ২৪ মে এনবিআর’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল এই চিঠি দিয়েছে।
সম্প্রতি ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দেখা যায়, অধ্যাপক আবদুস সোবহান ২০০৯-২০১৩ এবং ২০১৭-২০২১ দুই মেয়াদে উপাচার্য থাকাকালে ঘুষের বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ দিয়ে সম্পদ অর্জন করেছেন।
অধ্যাপক সোবহান উপাচার্য থাকাকালে নিয়ম ভঙ্গ করে তার মেয়ে ও জামাতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগের পর তাদের বিরুদ্ধেও অনিয়মে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে।
এনবিআরের চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত সময়ের আগেও যদি কোন হিসাব থাকে তাও সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, তাদের সঞ্চয়ী, চলতি, মেয়াদী একক বা যৌথ নামের যে কোনো হিসাবের সব তথ্য চাওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক সোবহান তার মেয়াদে অন্তত ৩৬৪ জন শিক্ষক এবং ৫৯৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন এবং চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীরা।
গত ৬ মে মেয়াদের শেষ দিনে অধ্যাপক সোবহান অন্তত নয় শিক্ষকসহ ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেদিনই ওই নিয়োগকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটি তদন্তে ওই নিয়োগে আইন ভঙ্গের প্রমাণ পায় এবং অধ্যাপক সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসন্ধানের সুপারিশ করে।